সুনামগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিষয়ে নাগরিক মতামত তুলে ধরতে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির কনফারেন্স রুমে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন জেলা শাখার সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী। সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। ‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম’-এর অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়কারী নাজমুল হুদা মিনা।
বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন সুজনের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ (অব.) সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম, সিভিল সার্জন (অব.) ডা. মনোয়ার আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) শেরগুল আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, লেখক সুখেন্দু সেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আয়ুব করম আলী, জেলা সুজনের সহসভাপতি আলী হায়দার, শাহীনা চৌধুরী রুবি, আবুল হোসেন, শহীদ জগৎজ্যোতি লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক খলিল রহমান, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ, মাওলানা মুবাশ্বির আলী, জেলা সুজনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, মানবাধিকার কর্মী আমিনুল হক, উপজেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সন্ধ্যানী ডোনার ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মজনু, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, নারী শান্তি সহায়ক দলের সমন্বকারী সামিনা চৌধুরী মনি, অদম্য নারী খাদিজা কলি, নারী উদ্যোক্তা রুসনা আক্তার তৃষ্ণা, বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন গণতান্ত্রিক যাত্রার প্রথম ধাপ, এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, আস্থা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত না হলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ বাধাগ্রস্ত হয়। নির্বাচন শুধু একটি দিনের ঘটনা নয়, বরং এটি একটি কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়া-যেখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এবং সক্রিয় নাগরিক সমাজ জরুরি।
তাদের বক্তব্যে আরও উঠে আসে-একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আইনি ভিত্তিতে, সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারকে শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের প্রতিযোগিতাকে স্বাভাবিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করা এবং আচরণবিধি মেনে চলাও জরুরি।
বক্তারা বলেন, একটি রাষ্ট্রের চরিত্র তার নাগরিক সমাজের ওপর নির্ভর করে। নাগরিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গভীরভাবে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিলম্বিত হবে। তাই সচেতন, সংগঠিত ও দায়িত্বশীল নাগরিকরাই গণতন্ত্রের প্রধান রক্ষাকবচ। বৈঠকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, আইন ও মিডিয়া অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।