দুই সহোদর ও ভাতিজার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা করেছেন জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ভাসিলা গ্রামের আয়ুব আলীর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম। সরেজমিনে জানা গেছে,ভাসিলা গ্রামের আকবর আলী, আশিক, আফসার আলীর সঙ্গে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৪৯) এর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর জেলা ম্যাজিট্রেট আদালত ওই বিবাদমান জমিতে ১৪৫ ধারা জারী করে। গত ৪ জানুয়ারী শবিবার ১৪৫ ধারা অমান্য করে রাতের আঁধারে ওই জমিতে প্রাচীর নির্মান করছিল আয়ুব আলী। আফসার আলী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে এসে প্রাচীর নির্মান করতে নিষেধ করে চলে যায়। পুলিশের ভয়ে বাড়ীর মালিক আয়ুব আলী ও অন্যান্য সদস্য বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম একা বাড়ীতে থাকে। এই সুযোগে ওই রাতে ২টার সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী দূর্বৃত্ত বাড়ীতে ঢুকে তার ঘরের আসবাব পত্রসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আফসার আলী, আকবর আলীর ভাতিজা আশিকসহ দুই সহোদরের বিরুদ্ধে জয়পুহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ জানোয়ারী আন্জুয়ারা বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। আন্জুয়ারা বেগম বলেন, আফসার,আকবর ও তার ভাতিজা আশিক বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের সদস্যদেরকে ভয়ভীতি, প্রাণনাশের হুমকি দিত। শনিবার রাতে আমরা বাড়ীর কাজ করছিলাম দুইজন পুলিশ এসে আমাদের বাড়ির কাজে বাধা দেয়। পুলিশের ভয়ে আমার স্বামী ও ছেলে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। আমি বাড়িতে একাই থাকি হঠাৎ রাত ২টার দিকে কয়েকজন মুখোশধারী লোক আমার বাড়ীতে ঢুকে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৩ ভরি সোনা গহনা লুট করে নিয়ে চলে যায়৷ এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকবর আলী, আশিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানাযায়, দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই রাতে চুরি বা ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আন্জুয়ারা স্বামী আইয়ব আলী বলেন, মামলায় উল্লেখ বিষয়গুলো সত্য ঘটনা। এখানে মিথ্যার কিছু নেই। তলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। আদালতের নির্দেশনা আসলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।