সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের বটগাছ ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের বটগাছ ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে

নীলফামারীর জেলার সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। যার পুর্ব নাম ছিল সৈয়দপুর বাংলা স্কুল। নীলফামারী জেলার এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯০৬ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটির পুর্ব নামকরন ছিল সৈয়দপুর বাংলা স্কুল। বিদ্যালয় চত্বরের পুর্বদিকে কালের সাক্ষী হয়ে আছে একটি বটগাছ। গাছটি যেন তার সবকিছু দিয়ে শোভামন্ডিত করে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটিকে। গাছটি এমন সুন্দর করে তার ডাল পালা ছড়িয়ে দিয়েছে যা দেখলে মন জুড়ে যায়। সত্যিই প্রকৃতি আমাদের বিভিন্ন ভাবে আনন্দ দেয়, মন কেড়ে নেয়। তা এ গাছটি দেখলে উপলব্দি করা যায়।

বটগাছটি একদিকে যেমন আমাদের জীবন রক্ষাকারি অক্সিজেন ত্যাগ করছে অন্যদিকে তার ডালপালার ছায়া দিয়ে আমাদেরকে প্রচন্ড গরমে শীতল করে তুলে। গাছের অবদান মানুষ কোনদিন ভুলার নয়।

বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আসাদুর রহমান বলেন,গরম ও শীতে এ গাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। দেশীয় পাখিরা আবার বাসা বাঁধে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। সন্ধ্যা হলেই এ গাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করে। ফলে পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তবে এ বছর এখনো কোন অতিথি পাখি আসেনি।

গাছটি নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ  বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম এর সাথে। তিনি জানান গাছটির আমি যত্ন করেছি। দ্রুত সময়ে গাছটি যে এমন ডালপালা ছড়াবে তা জানা ছিল না। গরমের সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা গাছের নিচে বসে শীতল হয়। তিনি বলেন,আমি বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম গাছটির ডালপালা কেটে দেয়ার। হয়তো ডালপালা কেটে দিলে গাছটি আরো ছড়িয়ে বিস্তার লাভ করতো কিন্তু গাছটির ডালপালার সৌন্দর্য আমাকে আঁকড়ে ধরে। তাই আর ডালপালা কাটা হয়নি। তবে গাছের ঝুলানো শিকরগুলো বেশ বড় হয়ে মাটি পর্যন্ত লাগার উপক্রম হয়েছে। এ শিকরগুলো দ্রুত সময়ে না কাটলে গাছটির সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে। তাই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে গাছটির যত্ন নিতে হবে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন শাহ জানান,আসলে গাছটি স্কুলকে শোভামন্ডিত করেছে যা সকলের মন কাঁড়ে। গাছটির বয়স প্রায় ৫০ বছর হবে। তবে দ্রুত সময়ে গাছটি তার শাখা প্রশাখা এমন ভাবে বিস্তার করেছে দেখলে মনে হয় গাছটির বয়স একশো বছর হবে। গ্রীষ্মকালে শিক্ষার্থীদের আড্ডা জমে গাছের তলায়। স্কুল টিফিন হলে তারা একটু শীতল হতে গাছটির ছায়ায় গিয়ে বসে। আমরা গাছটির যত্ন করছি। যাতে এটি আরো দীর্ঘ সময় জীবন্ত থাকে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে