প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গুলশানে ইউথ ভোটার অনুষ্ঠানে বললেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ধরনের সংশয় ও দুশ্চিন্তা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, “আসন্ন নির্বাচন হবে এক ঐতিহাসিক ও স্বচ্ছ নির্বাচন। তরুণরা দেশের ভবিষ্যতের মূল চালিকা শক্তি। তারা নিজেরাই ভোট দেবে এবং অন্যদেরও ভোট দিতে উৎসাহিত করবে। তরুণরা সাহসের প্রতীক, সৃষ্টিশীলতার প্রতীক। আপনারা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “তরুণরা ৬৯, ৭০, ৭১, ৯০ ও ২৪ সালের গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনগুলিতে সাহস এবং সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দেখিয়েছে। এবারের নির্বাচনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
‘এবার প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে, যা দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও কারাবন্দিরাও এবার ভোট দিতে পারবেন’-উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত, এবং কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে।”
এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুই একটা খুন খারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।”
সিইসি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। আগে আহসানউল্লাহ মাস্টারের সঙ্গেও এরকম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।”
হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে তিনি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এটি নির্বাচনের কোনো প্রভাব ফেলবে না। এছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০২৪ সালের তুলনায় অনেক উন্নত। “মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।”