“আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে পছন্দের প্রার্থীকে বিয়ে করেছি। স্বামীকে নিয়ে সুখে আছি। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।” এমন অভিযোগ করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী মেহেরীন নাহার তানিশা।
সোমবার সকালে লক্ষ্ণীপুর শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তানিশা জানান, তিনি কমলনগর উপকূল সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার সুবাদে পাশ্ববর্তী এলাকার নিজাম উদ্দিন শুভর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বিষয়টি তার পরিবার মেনে নেয়নি। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনো ফল হয়নি। উল্টো পরিবার থেকে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বাধ্য হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি নিজের ইচ্ছায় ঘর ছেড়ে আদালতের মাধ্যমে নিজাম উদ্দিন শুভকে বিয়ে করেন। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার মা মরিয়ম বেগম অপহরণের নাটক সাজিয়ে কমলনগর থানায় স্বামী নিজাম উদ্দিন শুভসহ পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেন তানিশা।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন। এ অবস্থায় মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার স্বামী নিজাম উদ্দিন শুভ। তিনি বলেন, তানিশাকে কেউ অপহরণ করেনি। তানিশা নিজ ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার মাধ্যমে যেন হয়রানি করা না হয়—সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
জানাগেছে, গত ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার তাহের আহমদ ও মরিয়ম বেগম দম্পতির কলেজপড়ুয়া মেয়ে মেহেরীন নাহার তানিশা পাশ্ববর্তী এলাকার হাবিব উল্যাহর ছেলে নিজাম উদ্দিন শুভর সঙ্গে ঘর ছাড়েন। পরে তারা ঢাকায় গিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় প্রথমে তানিশার মা মরিয়ম বেগম কমলনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর একই থানায় অপহরণ ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিজাম উদ্দিন শুভসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।