কেশবপুরে যুবলীগ নেতার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

এফএনএস (জয়দেব চক্রবর্তী; কেশবপুর, যশোর) : | প্রকাশ: ৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:২২ পিএম
কেশবপুরে যুবলীগ নেতার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কেশবপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়নের বহু অপকর্মের হোতা  পতিত যুবলীগ নেতা নাজমুল ও লাভলুর সন্ত্রাসী কার্মকান্ড বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পাঁজিয়া বাজারে ভূক্তভোগী মহিরউদ্দীন বিশ্বাস এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এদাবি করেন। 

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১৭ সালে ইউপি নির্বাচনে পাঁজিয়া ইউনিয়ন থেকে শফিকুল ইসলাম মুকুল অবৈধভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই সময় হদ গ্রামের সিরাজুল সরদারের ছেলে নাজমুল হোসেন ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও তার ভাই আবু সাঈদ লাভলু উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হয়। সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ইসমাত আরা সাদেক ও শাহীন চাকলাদার এমপির সখ্যতায় তারা এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের প্রধান কাজ ছিল বিএনপি ও জামায়াতের লোকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, নির্যাতন করা। তারা ইউনিয়নের তিন শতাধিক নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। যা আজও চলমান রয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে তারা বিভিন্ন মানুষকে ফাঁদে ফেলে ৮৪ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় অনেক নেতা-কর্মীর হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে এঘটনায় সাজ্জাত হোসেন বাদী হয়ে ৩২৬/১৮ ধারায় মামলা করেছিল। 

তাদের এলাকায় ৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল। এবাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, জমি জবর দখলসহ ভাঙচুর চালাতো। সেসময় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। এনিয়ে বহু মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, নাজমুল একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। সে নিরীহ মানুষের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করতো। সে অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘের দখল, লুটপাট করতো। ওই ইউনিয়নে কোনো অবৈধ ঘটনা ঘটলে তাকে টাকা দিয়ে ফাইল করতে হতো। যে কারণে সে এলাকায় ফাইল নাজমুল নামে পরিচিত। অত্র ইউনিয়নে তাদের যেসব মৎস্য ঘের রয়েছে, তা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয়া। তারা বহু মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা, পাম্প মেশিন, গরু, মটর সাইকেল ও রাস্তার গাছ কেটে আত্নসাত করেছে। যে কারণে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠি হয়ে মহিলারা পাঁজিয়া বাজারে ঝাটা মিছিল করে। 

গত ২ জানুয়ারি তারা কৃষ্ণনগর গ্রামের যাদব মন্ডল, নিরমল মন্ডল ও শ্যাম মন্ডলের তিনটি ছোট ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে দেয়ার ঘটনায় নাজমুল, লাভলুগংদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়। দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হওয়ার পরও তাদের অপকর্ম এখনও বহাল তবিয়াতে চলছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অপকর্ম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ রায়হান রানা, নির্মল মন্ডল, নিত্য মন্ডল (কৃষ্ণনগর) সহ ভুক্তভোগীরা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে