নির্বাচনে নিরাপত্তা বলয়, পাঁচ দিন মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম | প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
নির্বাচনে নিরাপত্তা বলয়, পাঁচ দিন মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পর মিলিয়ে পাঁচ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে গুজব ও অপতথ্য ঠেকাতে টানা সাত দিন সক্রিয় থাকবে বিশেষ মনিটরিং সেল।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিশেষ পরিপত্রে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যেই এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ইসির নির্দেশনায় বলা হয়, সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারেন, ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারেন এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকবে। ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাঠামো অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে তারা। মাঠপর্যায়ে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং অফিসারদের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকারভিত্তিতে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, ভোটের চার দিন আগে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল মাঠে নামবে। ভোটের তিন দিন আগে ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন শুরু হবে, যা চলবে ভোটের পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত। এ সময় স্থায়ী মোতায়েনের পাশাপাশি মোবাইল টহল, আভিযানিক দল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স সক্রিয় থাকবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটের আগে চার দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পর দুই দিন আইনশৃঙ্খলা ও অপতথ্য মনিটরিং সেল পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করবে। অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা, সিসি ক্যামেরা এবং বডি ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হবে।

ইসি মনে করছে, এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটাররা স্বচ্ছ, নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে