আরিফ হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনের মেয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড

যুবদল কর্মী আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তে তার ভূমিকা খতিয়ে দেখা এবং অস্ত্র ও পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য উদ্ধারের জন্য এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতে খাদিজাকে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন। এর আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায়ও সুব্রত বাইন তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করতেন তার মেয়ে খাদিজা। রাষ্ট্রপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, জেলগেটে সাক্ষাতের সময় অবৈধভাবে ফোন ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়ে সুব্রত বাইনকে বাইরে যোগাযোগ রাখতে সহায়তা করেন তিনি।

তবে আদালতে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন খাদিজা ইয়াসমিন বিথী। তিনি বলেন, তার বাবার কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। শুনানি শেষে আদালত সুব্রত বাইনের কিলিং মিশনের পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট অস্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। মামলার মূল নথি না থাকায় সেদিন রিমান্ড শুনানি না নিয়ে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির একটি ক্যাফের সামনে গত ১৯ এপ্রিল রাতে যুবদল নেতা মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আরিফ ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহত আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় প্রথমে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে আরিফের মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ মামলায় এর আগে সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

র‍্যাব সূত্র জানায়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরের জেলখানা মোড় এলাকা থেকে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে আটক করা হয়। পরে রাতে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।