মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে জান্নাত হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তিনি গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা শাহিন রাঢ়ির দুই ছেলে তারেক ও রিয়াদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। শনিবার সকাল দশটার দিকে দুই ভাই আবারও ঝগড়া শুরু করলে তা থামাতে ঘটনাস্থলে যান প্রতিবেশী আব্দুল হকের ছেলে জান্নাত হোসেন। এসময় দুই ভাইয়ের হাতেই বগি দা ছিল।
ঝগড়ার এক পর্যায়ে রিয়াদ তার হাতে থাকা দা দিয়ে ভাই তারেককে উদ্দেশ্য করে কোপ দিতে গেলে তা জান্নাত হোসেনের গায়ে লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মারিয়া মোস্তারি বলেন, “সকাল এগারোটার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তাকে মৃত ঘোষণা করি। হাসপাতালে আনার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এদিকে নিহত জান্নাত হোসেনের ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার বলেন, “এই দুই ভাই নেশা আসক্ত ছিল। নেশার টাকা যোগাড় করার জন্য তারা চুরি, ছিনতাইয়ের মত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতো। তারা আমার মামা জান্নাতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। সকালে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক ছিল, তারা ইচ্ছে করে আমার মামাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর রিয়াদ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মামাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, “এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”