দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে চলছে আগাম জাতের আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষীরা। শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মাঠে মাঠে আলু চাষীরা কৃষাণ নিয়ে আলু তুলছেন। আলু তুলে কৃষকের মুখের হাসি ফুরিয়ে গেছে কেননা বাজারে আলুর দাম কম থাকায় আলু উৎপাদনের খরচ উঠছে না। বরঞ্চ এবার আলু আবাদ করে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষককে। শনিবার বলরামপুর গ্রামের আলু চাষী শরিফুল ইসলাম ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন। ৩৩ শতক জমিতে আলু হয়েছে ৪০ বস্তা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেছেন ৯ টাকা কেজি দরে। আলু বিক্রি করে দাম পেয়েছেন ২৫ হাজার ২শত টাকা আর আলুতে খরচ করেছেন ৪০ হাজার টাকা। একই গ্রামের আহসান আলী ৬০ শতক জমিতে আলু চাষ করে আলু পেয়েছেন ৮২ বস্তা। সর্বমোট খরচ হয়েছে ৮৯ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করে পেয়েছেন ৫২ হাজার টাকা। অপরদিকে একই গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, এবার ৫০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছি। বাজারে আলু দাম অত্যাধিক কম রয়েছে। আলু উৎপাদন করে খরচ উঠছে না। কৃষির প্রতিটি উপকরণের দাম বেশি তাই আলু উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। বর্তমান বাজারে আলু দাম কম থাকায় মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান হবে বলে জানান তিনি।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে এবার উপজেলায় আলু লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩শত ৩৩ হেক্টর জমিতে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের আলু বেশি চাষ হওয়ার কারণে দাম কম। তিনি আরও বলেন, পুরাতন আলু থাকার কারণে এবার নতুন আলুর দাম অনেক কম। তাই এবার আগাম জাতের আলু উৎপাদন করে কৃষকদের লোকসান হচ্ছে। তবে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আলু তোলার পর ভুট্টা চাষের জন্য। ভুট্টা চাষ করলে আলুতে যে পরিমান লোকসান হয়েছে তা ভুট্টা চাষ করে পুষিয়ে নিতে পারবে কৃষক।