ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকেই সর্বত্র উৎসবমুখল পরিবেশ ও নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু করেছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী তৎপরতা। নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন প্রার্থীরা। বসে নেই পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা। পাবনা-৩ আসনে ইতোমধ্যে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। বিএনপির এই নেতা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এসময় চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আঃ কুদ্দুস আলো,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজির সরকার,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল,ভাঙ্গুড়ার বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেনসহ তাঁর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামলেন বিএনপি মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক এমপি,বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন,চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল বিএনপির কর্মীরা তাঁকে নির্বাচনে চাইছেন। তাদের ভালবাসার ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এরআগে রবিার বিকেলে গণফোরাম মনোনতি প্রার্থী সরদার আশা পারভেজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তিনি চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মুসা নাসের চৌধুরীর দপ্তরে এসে তাঁর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কেেরছেন।
উল্লেখ্য,পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন। তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে ফুঁসে ওঠে তিন উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম এবং সাবেক উপজলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল,সমাবেশ,মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন।