হাদি হত্যা মামলায় সিবিউন ও সঞ্জয় আবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
হাদি হত্যা মামলায় সিবিউন ও সঞ্জয় আবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আবারও পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকা থেকে আটক সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এই আদেশ দেন। এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ওই দিনই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল আঞ্চলিক টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আগের রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “আগের তিন দিনের রিমান্ডে তারা যেসব তথ্য দিয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। নতুন রিমান্ডে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।”

তদন্তে উঠে এসেছে, সীমান্ত পারাপার চক্রের কথিত হোতা ‘ফিলিপ’ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সিবিউন ও সঞ্জয় দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, ফিলিপের অবস্থান শনাক্ত, তাকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিশ্চিত করতে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। একই সঙ্গে কারা অর্থায়ন করেছে ও কারা পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল, তা বের করাও জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হাদি গত ১২ ডিসেম্বর খুব কাছ থেকে আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। ঢাকা ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। ঘটনার তিন দিন পর, ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে সিবিউন ও সঞ্জয়কে আটক করে বিজিবি। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করা হলে তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।

এই মামলায় ইতিমধ্যে প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন। অন্য কয়েকজন আসামি এখনো রিমান্ডে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।