কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চাঁন্দপুর গ্রামের ট্রাক চালক আব্দুল মান্নানের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার বিকেলে উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল মান্নানের খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার, বড় মেয়ে সানজিদা আক্তার, ছোট মেয়ে মারিয়া আক্তার, সমাজ সেবক ফারুক হোসেন, একরামুল হক প্রমূখ।
আব্দুল মান্নানের স্ত্রীর বেগম বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ । গত এক বছর বাপের বাড়িতে বসবাস করে আসছি, আমার স্বামীর সাথে কখনও কারো ঝামেলা ছিল না। আমার স্বামী গত চার পাঁচ মাস ট্রাক চালায়। ঘটনার দিন তিনি বাড়ি আসতেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তার সাথে ৪.১৩ মিনিটে আমার সর্বশেষ কথা হয়। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরেন লাশ হয়ে। এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। পুলিশকে ইতিপূর্বে আমার স্বামীকে হুমকি দাতাদের নাম ঠিকানা ও দিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি। আমার দুটি সন্তান নিয়ে আমার এখন কি হবে। আমি কিভাবে বাঁচবো। আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারের নিকট আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
আব্দুল মান্নানের দুই কন্যা সানজিদা ও মারিয়া বলেন, আমার পিতা নিরপরাধ। আমার পিতাকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, তাদের ফাঁসি চাই।
উল্লেখ্য গত (১৪ডিসেম্বর) রোববার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চাঁন্দপুর গ্রামের চতলিয়া পাড়ার শশুরবাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশ থেকে আব্দুল মান্নানের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় এক নারী সড়কের পাশে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে পাশ্ববর্তী চাঁন্দপুর দিঘিরপাড় বাজার-সহ আশপাশের লোকজন এসে মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করে। নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি একই উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে । সে পেরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চাঁন্দপুর গ্রামের চতলিয়া পাড়ার আব্দুল মতিন মিস্ত্রির বড় মেয়ে রোকেয়া বেগমকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন। আব্দুল মান্নান তুলাগাঁও গ্রামের মরহুম মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। নিহতের মিম ও মাহি নামে ২ কিশোরী কন্যা সন্তান রয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। আমরা আসামি গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।