দুষ্কৃতীকারীরা সারা দেশে অঘটন ঘটাচ্ছে, কিন্তু ধরা পড়ছে না কেন? : রিজভী

এফএনএস (নিজস্ব প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
দুষ্কৃতীকারীরা সারা দেশে অঘটন ঘটাচ্ছে, কিন্তু ধরা পড়ছে না কেন? : রিজভী

সারাদেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি যেভাবে চলছে, দূষকৃতকারীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে অঘটন ঘটাচ্ছে,রক্তপাত করছে, কিন্তু ধরা পড়ছেনা কেন? তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন.? আগে তো এমনটি ছিল না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধ করলে কয়েকদিনের মধ্যে অপরাধী ধরা পড়তো, এখন তা হচ্ছেনা। অপরাধীকে ধরা পড়তে হবে। অপরাধ করার পর কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদেরকে খুঁজে পাওয়া যেতো, ধরা যেতো। পুলিশ প্রশাসনকে আরো তৎপর হয়ে কাজ করতে আহবান জানান তিনি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লক্ষ্ণীপুরের ভবানীগঞ্জের চর মনসা গ্রামে আগুনে পুড়ে শিশু নিহত হওয়া ও বিএনপি নেতা বেলালের পোড়া বাড়ি পরিদর্শন এবং পরিবারের খোজ খবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন তিনি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে তিনি আরো বলেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। তাই আপনাদের প্রতি মানুষের সন্দেহ জাগবে। আপনাদের নিষ্ক্রিয়তার কারনে আজকে যদি দুষ্কৃতীকারীরা পার পেয়ে যায়, তাহলে এই সমাজে অন্ধকার নেমে আসবে। চট্রগ্রামে সিবএনপি নেতাকে গুলি-হাদির হত্যাকান্ড আর লক্ষ্ণীপুরে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বেলালের ঘরে সবাইকে মারার জন্য আগুন দেওয়া একই সূত্রে গাঁথা। কেউ না কেউ কলকব্জা নাড়ছে। হয়তো রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিও হতে পারে। কারন তারা চায়না নির্বাচন হোক। তিনি আরো বলেন,সারাদেশে অস্থীতিশীল করার চেষ্টা করছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরা। হাসিনা ও তার আত্নীয় স্বজন পালিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাদের দোসর তো রয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে এখনও তারা রয়েছে। তাদের বের করতে হবে। দেশে-বিদেশে বসে নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। যেন নির্বাচন বানচাল করা যায়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সজাগ ও সর্তক থাকার আহবান জানান বিএনপির এই নেতা। এর আগে লক্ষ্ণীপুর সদর হাসপাতালে দগ্ধ বিএনপি নেতা বেলালকে দেখতে যান তিনি। এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা উপহার দেন।এছাড়া হাসপাতালে বেলাল কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে বিএনপি নেতা রিজভী ও এ্যানি ঘটনার বিষয়ে বেলালের কাছে জানতে চান। বেলাল ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন তাদের কাছে। এ সময় চিকিৎসার ও ঘর নির্মাণের সম্পূর্ণ ব্যবস্থার আশ্বাস দেন এ্যানি। এসময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তিনি বলেন, “হাদির হত্যাকাণ্ড আর বেলালের ঘরে অগ্নিসংযোগ একই সূত্রে গাঁথা। কেউ না কেউ কলকাঠি নাড়ছে। হতে পারে রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি। কারণ তারা চায় না দেশে নির্বাচন হোক।”জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপী. জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বিএনপি নেতা মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজসহ অনেকেই। জানাগেছে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেনের ঘরে তালা লাগিয়ে দূর্বৃত্তদের আগুনে তার মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮) মারা যায়। এছাড়া বেলালসহ তার দুই মেয়ে স্মৃতি ও সামিয়া আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে