দ্বীপ উপজেলায় হাতিয়ায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্হানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক দপ্তরী।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় হাতিয়া পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড গুল্লাখালী গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত দপ্তরী মিজানুর রহমান (৩৭) গুল্লাখালী ৯ নং ওয়াড়র্ের পৌরসভা গ্রামের মৃত ছালেহ উদ্দিনের ছেলে এবং গুল্লাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী।
ঘটনাটি রাতেই জানাজানি হলে লম্পট মিজানুর রহমান কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগম জানান, সোমবার রাতে আমি বাবার বাড়িতে শয়নকক্ষে ঘুমানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করার সময় আমার পিতা মাতা পার্শ্ববর্তী ঘরে থাকার সুযোগে দপ্তরী মিজানুর রহমান বসতঘরে ডুকে পিছন থেকে আমার মুখ চাপিয়া ধরে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।।।
গুল্লাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি উপজেলা অফিসে ছিলাম। পরে এসে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি।
হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু বলে নাই, খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিজানুর রহমান কে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত লম্পটের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।