প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও নওগাঁ মেডক্যাল কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হয়নি। এমন কি এখন পর্যন্ত কলেজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করাও হয়নি। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের একটি অংশে মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে স্থান সংকীর্ণতার কারনে একদিকে যেমন মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে অন্যদিকে হাসপাতেলর চিকিৎসা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পিযুষ কুমার কুন্ডু সাংবাদিককে জানিয়েছেন নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ গত ২০১৮ সালে অনুমোদন লাভ করে। সেই বছরই অর্থাৎ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে শুরু হয় শিক্ষাক্রম। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দোতলায় একটি অংশে প্রশাসনিক ও ক্লাশ শুরু হয়। এই মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যা ৫০ জন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০১৮ -১৯ শিক্ষাবর্ষে ক্লাশ শুরু হয়। ইতিমধ্যে প্রথম ব্যাচ-এর শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পাশ করে ইন্টার্নিশিপ করছেন নওগাঁ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। এদিকে ২০২৩-২০২৪ সেশন থেকে এই মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৭৫ জন নির্ধারন করা হয়েছে। সেই হিসেবে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। একটি পূর্নাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জন্য শিক্ষক ও অন্যান্য জনবল যা প্রয়োজন তার মোটামুটি সবই রয়েছে। এখানে ৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষা উপকরণ বা মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট যা প্রয়োজন তার সবই আছে বলে জানালেন অধ্যক্ষ। তবে শুধু স্থান সংকট রয়েছে। চারটি ছোট ছোট রুমে ক্লাশ করানো সমস্যা হয়। ৫০ জনের বসার জন্য ব্যাবস্থা করা দুরূহ। এর মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৭৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য এইসব ছোট রুম খুবই অসুবিধার কারন হয়ে দেখা দিবে। মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য দু'টি হোষ্টেল আছে। হাসপাতালের ভিতরে মেয়েদের হোষ্টেল এবং পুরাতন হাসপাতালের ষ্টাফ কোয়ার্টার মেয়েদের হোষ্টেল হিসেবে ব্যাবহৃত হচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এদিকে শহরের পশ্চিম প্রান্তে আব্দুল জলিল শিশু পার্কের উত্তর পার্শ্বে নলগাড়া বিলে কলেজের অবকাঠামো নির্মানের জন্য ২৫ একর জমি অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পিযুষ কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন। আব্দুল আজিজ নওগাঁ থেকে।