দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বেসকিছু ইটভাটা। এই সকল ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে ৩ ফসলির শত শত একর জমি। এই সব ইটভাটার কালো ধোয়া ও বাষু দুষণে এই অঞ্চলের পরিবেশ মারাত্বক ঝুকিতে রয়েছে। এই সকল ভাটা বাৎসরিক রাজস্ব ফাকি দিলেও ইটভাটা মালিকদের পকেট ভারি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় পুড়ছে কৃষকদের ৩ ফসলি জমির ফসল। চলমান পৌষের শীতকাল শুরুতেই ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ব কমছে না। কৃষকদের ৩ ফসলি জমির মালিকদের মাটি যাচ্ছে অহরহ ইটভাটায়। জানা যায়, উপজেলায় ১০টি ইটভাটা রয়েছে। তারমধ্যে এ বছর ইট উৎপাদনে বন্ধ রয়েছে ২টি ভাটা। ৮টি ইটভাটা চালু রয়েছে এবং এই ইটভাটাগুলি সরকারি বিধিবিধান না মেনে পুরাদমে তৈরি করছেন ইট ভাটার মালিকেরা। এই ভাটা স্থাপনে পরিবেশ, বন বিভাগ ও কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইব্রিড, হফম্যান, জিকজাক, ভার্টিকেল, কিলন কিংবা বি এস টি আই পরিক্ষিত নতুন প্রযুক্তি এলাকার পরিবেশ বান্ধব সহ সরকারি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর বাৎসরিক হালনাগাদ ছাড়পত্র কিংবা প্রত্যয়নপত্র না নিয়েই ইটভাটাগুলো অভাধে ইট উৎপাদন করে চলেছে। অনেক ভাটা সংশ্লিষ্টর দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই নিজেদের খেয়াল খুশিমত ইটভাটা স্থাপন করে ইট পুড়িয়ে এই অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে ভাটার মালিকেরা। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ১২ ও ৪ এর ২/৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবাদী কৃষি জমি, পরিবেশ সংকটাপন্ন ও জনবসতি এলাকায় পাকা সড়ক এবং আশেপাশে ইটভাটা স্থাপন করা দন্ডনীয় অপরাধ। আবার ৩/৪টি ছাড়া অনেকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইট তৈরির উন্নত ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান সহ পরিচিত কোন সর জ্ঞান নেই বললে চলে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার ও এলজিডি নির্মিত সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোন ইটভাটা করতে পারবেন না। বিশেষ নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে আবাসিক, সংরক্ষিত ও বানিজ্যিক এলাকা, পরিবেশগত সংকটানাপন্ন এলাকা, কৃষি আবাধি জমি, বন ও বাগানকে বুঝানো হয়েছে। এই বিষয়ে ভাটার মালিকেরা বলেন, নিয়ম মাফিকভাবে ইটভাটা চালাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে এক ভাটার মালিক বলেন, আপনাদের নেই কোন কাজ তাই ভাটার খোজ নিচ্ছেন। উপরের লোকজনকে ঠিক রেখে ভাটা চালাই। কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, যে সকল জায়গায় অবৈধ ভাটা রয়েছে এবং যে সকল ভাটার বৈধ কাগজপাতি নেই তাদের আইনের আওতায় এনে ভাটাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে।