চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল যেন দালালের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দালালদের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। জেলা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের হয়ে দালালরা রোগীদের সদর হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।রোগীদের পাশাপাশি দালালদের হাতে অনেকটা জিম্মি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। দালালদের এমন উৎপাত ঠেকাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা বেশ কয়েকবার দালাল ধরেছে। তেমনি বুধবার (৮ জানুয়ারি) হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে সরকারি ঔষধ নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে তিন নারী দালালকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা । চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়ার নির্দেশে এসআই গাজী কালাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সদর হাসপাতালে গিয়ে তিন নারী দালালকে আটক করে। পরে নারী দালাল আটক এর ঘটনা জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল ইমরান খাঁন হাসপাতালে এসে নারী দালালদের দালালির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণ পেয়ে তাদেরকে সাজা দেয়। এদের মধ্যে আটক নারী দালাল ইসরাত ও খাদিজাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নাসিমাকে তিনদিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খাঁন। এই বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা জানান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ডাক্তার রয়েছে তারা দালালদের ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে। এবং কিছু অসাধু ডাক্তার ও নার্স তারা দালালদের মাধ্যমে সরকারি ঔষধ অন্যত্রে পাচার করছে। এছাড়া এ সকল দালালরা বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারদের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসে রোগীদের ধোকা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের সামনে যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো রয়েছে সেগুলোর মালিকপক্ষ এ সকল নারী দালালদের ব্যবহার করে চিকিৎসা বাণিজ্য করছে । এই সরকারি হাসপাতাল থেকে দালাল মুক্ত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা। এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনকে সাজা প্রদান করার পর তাদেরকে মডেল থানার এসআই গাজী কালাম তিন দালালকে আটক করে জেলা কারাগারে নিয়ে হস্তান্তর করেন।