জয়পুহাটের ক্ষেতলালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদল নেতার উপর হামলা। মেম্বারের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় আওয়ামীলী নেতার নেতৃত্বে ওই ছাত্রদল নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ জানোয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বানাইচ গ্রামের রেজাউল সাগিদারের ছেলে ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম সৌরভের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে জানাগেছে, জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সৌরভ। কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে শহরে যাচ্ছিলেন। পথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে একয় গ্রামের কুতুব মেম্বার ও তার দুই সহযোগী। সৌরভের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ওই তিনজন মিলে সৌরভকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়। এনিয়ে কুতুব মেম্বারের দুই সহযোগী রব্বানী, মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর থেকে কুতুব মেম্বার থানা থেকে অভিযোগটি তুলে নেওয়ার জন্য সৌরভের বাবা রেজাউল সাগিদারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। সৌরভ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ওই ঘটনার জেরধরে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা তাইফুল ইসলাম ও কুতুব মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক এসে সৌরভের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় তার স্ত্রী ও মাকে অকথ্য ভাষায় শাসিয়ে যান তারা।’ প্রতিবেশী রোজিনা আক্তারসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘৫০-৬০ জন লোক রেজাউলের বাড়িতে এসে লাঠি দিয়ে বাড়ীর দরজা, জানালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে। এ সময় কুতুব সহ অনেকেই বলতে থাকে দুদিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে তোদেরকে মেরে ফেলবো। এ সময় দরজার ফাঁক দিয়ে আমি ওদের কর্মকাণ্ড দেখি৷ ভুক্তভোগী রেজাউল সাগিদার বলেন, কুতুব মেম্বারসহ তার লোকজন আমার ছেলেকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়ে খান্ত হয়নি। আবার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে টাকা পয়সা লুটপাট করেছে। বাড়িতে থাকা নারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদার ও কুতুব মেম্বার হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কোনও হামলা চালাইনি আমাদের উপর মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে থানায় মামলা করেছে। তলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান বলেন, ‘ আলমপুরে একজনের বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্তরা এজাহার দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’