গাজায় ঝরল আরও ২১ প্রাণ

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
গাজায় ঝরল আরও ২১ প্রাণ

ইসরায়েলি বর্বর হামলা গাজা ভূ-খন্ড জুড়ে অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত ঝরছে তাজা প্রাণ। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুসারে, অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটি জুড়ে আরও ২১ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটে। এছাড়াও যুদ্ধবিরতি চলমান অবস্থাতেই লেবাননেও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। একইদিন আরেকটি হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনে। 

শনিবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামাস উৎখাতের নামে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৪৬ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসের এই লাগাতার হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পাস সত্ত্বেও অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে নৃশংস হামলা-অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলা-অভিযানের কারণে গাজা থেকে প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে বসবাস করছেন গাজার প্রত্যেকেই।

এদিকে ইয়েমেনে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করেছে তারা। ইসরায়েলি হামলার শিকার এই অবকাঠামোগুলোর মধ্যে রাজধানী সানার কাছে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং হোদেইদাহ ও রাস ইসার বন্দরও রয়েছে।

অন্যদিকে লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি সবশেষ বিমান হামলায় বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ, প্রাণঘাতী এ হামলার পরও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা এখনও লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।