জামায়াত নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা

এফএনএস (শাহ্ জামাল; ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া) : | প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
জামায়াত নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা

মসজিদের কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা মীর সাজনুর আলম (৪৮)’র উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ উঠেছে, সন্ত্রাসীরা জামায়াত নেতার বসতবাড়ীতে জোর করে প্রবেশের পর তাকে বেধড়ক পেটায় এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ৩ নারীকেও শ্লীলতাহানী করে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর গোরস্থানপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জামায়াতের পক্ষ থেকে ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ধরমপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সভাপতি হিসাবে বিএনপির মকছেদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক হিসাবে ধরমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সম্পাদক মীর কাওছার হোসেন, অর্থ সম্পাদক জাকারিয়া মনোনীত হয়। এসময় বিএনপি নেতা মকছেদ কে সভাপতি মানতে চায় না স্থানীয় মুসল্লিরা। তারা চায় জামায়াত নেতা মীর কাওছার অথবা মসজিদের ইমামই সভাপতি হোক। এসময় বিএনপি এবং জামায়াতের কর্মী সমর্থকদের মাঝে উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। পরে আসর নামাজের পর বিএনপি নেতা মকছেদ হোসেন’র ছেলে শাহাদুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধারালো এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাকিব, সোয়ান, বিক্রম সহ অনেকেই ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সম্পাদক কাওছার কে মারার জন্য বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই জামায়াত নেতা মীর সাজনুর আলম (৪৮)’র উপর হামলা চালায়। তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পকেটে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাড়ির নারী সদস্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা জেসমিন খাতুন (৫২), ইয়াসমিন খাতুন (৪৭), তাহেরা খাতুন (৩৮) কে শ্লীলতাহানী করে। এ বিষয়ে ধরমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সম্পাদক ও দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর কাওছার হোসেন জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটি ঘিরেই বিএনপির মকছেদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। তারাই নির্দেশে সন্ত্রাসীরা এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে