স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী মোটরসাইকেলে রবিবার রাতে কেনাকাঁটার জন্য পয়সাহাট বন্দরে যাচ্ছিলো। পথেমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার একটি নছিমন গাড়ী ছিটকে তাদের মোটরসাইকেলের উপরে পরে প্রাণগেলো স্বামীর এবং হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় মৃতুর সাথে পাঞ্জালরছে স্ত্রী। তাদের আর কেনাকাঁটা হলোনা লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। নিহত নরেন্দ্র নাথ হালদার স্থানীয় একটি বেসরকারী এনজিও কর্মী ছিলেন। তার বাড়ী বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের মৃত নারায়ণ চন্দ্র হালদারের ছেলে স্থানীয় এনজিও কর্মী নরেন্দ্র নাথ হালদার রবিবার রাতে উপজেলার বাইপাস সড়কে দুস্থ মানবতার হাসপাতালে কর্মরত স্ত্রী রীনা মন্ডলকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পয়সা বন্দরে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বুধার নামক স্থানে অবৈধ নসিমন ও বালু ভর্তি ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষের নসিমন ছিটকে নরেন্দ্র নাথের বহনকারী মোটরসাইকেলর উপরেপরে। মোটরসাইকে থাকা নরেন্দ্র নাথ হালদার (৫০) ঘটনাস্থলেই নিতহ হন এবং মুমুর্ষ অবস্থায় স্ত্রী রীনাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নরেন্দ্র নাথ গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া এলাকায় স্থানীয় একটি এনজিওতে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. অলিউল ইসলাম বলেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নসিমন আটক করলেও ঘাতক ট্রলি আটক করতে পারেনি। ট্রলিটি আটকের চেস্টা চলছে। পরবর্তি আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।