বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওসমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই আহ্বান জানান।
মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রয়োজনমতো সহজে দেশে ফিরে আবার কাজে যোগ দিতে পারবেন। বিশেষ করে গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজে যোগ দিতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি এই ইস্যুতে ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে মালয়েশিয়ার আগ্রহ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অক্টোবর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সালে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া এ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার এবং ভবিষ্যতে পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য সমর্থন দিতে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন ৭৯/১৮২ এর আলোকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ানের সমর্থনের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে মালয়েশীয় বিনিয়োগ এবং কারখানা স্থানান্তরের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কুয়ালালামপুরে চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ প্রক্রিয়া (বিসিএম) অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম যৌথ কমিশন বৈঠকের প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার এই কূটনৈতিক তৎপরতা শ্রমিকদের কল্যাণে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।