চলতি বছরের মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দিতে চাইছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে তারা এ লক্ষ্যেই নেওয়া একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।
স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরিকল্পনা আসলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা। বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে জনমতের প্রতি সম্মান জানানো।
বৈঠকে সরকারের সাম্প্রতিক ভ্যাট ও ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা হয়। নেতারা বলেন, এসব পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াবে এবং জনগণকে আরও কষ্টে ফেলবে। তারা অভিযোগ করেন, একটি নির্বাচিত সরকার হলে এমন সিদ্ধান্ত নিত না।
বৈঠকে লন্ডনে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়। জানানো হয়, তিনি মানসিকভাবে ভালো আছেন এবং শারীরিকভাবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার তিনি হাঁটার চেষ্টা করেছেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। সেখানে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরা হবে।
বিএনপি মনে করছে, তাদের এই দাবির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। তবে তারা চান না সরকার ব্যর্থ হোক, বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক।