গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি হাট বাজারের উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
জানা গেছে, উপজেলার বেলকা, বাজারপাড়া ও ময়েজ মিয়ার হাটে সাধারণ হাটুরে ও দোকানীদের দূর্ভোগ লাঘবের উদ্দেশ্যে এর উন্নয়নের জন্য ইফাদ (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট) ২ কোটি ৭ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৫ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে স্যানিটেশন ব্যবস্থা সহ বেলকা হাটে ৪টি সেড নির্মাণে ব্যয় বরাদ্দ করা হয় ৮০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৪ টাকা, বাজারপাড়ায় ৩টি সেডের জন্য ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৫ টাকা এবং ময়েজ মিয়ার হাটে ২টি সেডের জন্য ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৬ টাকা। উপজেলা এলজিইডি সরাসরি সেডগুলো নির্মাণ ও তদারকি করছে। সেডগুলো নির্মাণের জন্য এলজিইডি প্রভাতি (এলজিইডির একটি প্রকল্প) নামের মাধ্যমে ১৯২ জন নারীকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলতে লটারীর মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দেয়। নিয়োজিত নারী শ্রমিকরা সেড অনুপাতে বিভক্ত হয়ে কাজগুলো করছেন। এতে করে হাট-বাজারগুলোতে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেড নির্মাণে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের দৈনিক খোরাকি হিসেবে জন প্রতি ২০০ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ সমভাবে তাদের মাঝে বিভাজন করে দেয়া হবে। ফলে একবারে নারী শ্রমিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতে পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে যা দিয়ে তারা নিজেদের স্বাবলম্বি করার সুযোগ পাবে। সেডগুলো নির্মাণ কাজে সরাসরি মনিটরিং সম্পৃক্ত এলসিসি মরিটরিং কাম লাভলিহুড অফিসার কামরুন্নাহার লিপি জানান, প্রভাতির আওতাভুক্ত যে সকল নারী শ্রমিক কাজ করছেন তারা ভবিষ্যতে ভালো একটা অর্থ হাতে পাবেন বলে আশা করছি। এছাড়া হাট-বাজারগুলোতে হাটুরে দোকানীরা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। এসও হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুব-উল-আলম জানান, আমরা হাট-বাজারগুলোর উন্নয়ন করার জন্য এ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, তাই হাট-বাজারে সেড নির্মাণ কাজ বিষয়ে আমার তেমন একটা জানা নেই।