ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের হওরে গভীররাতে অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন। সরাইল থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ফসলি ও খাস জমির মাটি পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতে আব্দুর রহিমকে কারাদন্ড আর নাইম ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জব্দ করেছেন মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি। গত দেড় মাসে ইউএনও ৪ জনকে জেল ও ৫ জনকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে আলোচনায় এসেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানায়, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের আকাশী হাওরে ও আশপাশের এলাকায় ফসলি জমির টপসয়েল ও খাস জমির মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রির ব্যবসা করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। কোন ধরণের আইন বা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ওই চক্রটি গভীররাতে মাটি বহন করে আসছিল। নির্বাহী কর্মকর্তা হাতেনাতে তাদেরকে ধরতে গত এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে পাহাড়ায় ছিলেন। তিনি সফল হয়েছেন গত সোমবার দিবাগত গভীররাতে। রাত ১২টার দিকে ধর্মতীর্থ এলাকায় অবৈধ পন্থায় বেকু দিয়ে মাটি কাটতে ছিল। আবার সেই মাটি ট্রাকে করে অন্যত্র পাঠানোর কাজও চলমান। ওই মুহুর্তে পুলিশসহ হাজির ইউএনও মো. মোশারফ হোসেন। ট্রাকসহ তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে আখিঁতারা গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে আব্দুর রহিমকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও আশুগঞ্জ চরচারতলা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে নাইম ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এর আগে ইউএনও গত দেড় মাসে মাটিকাটা, পলিথিন কারখানা পরিচালনা, নদীতে রিং জালে মাছ শিকার করা নানা অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৪ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। ৫ ব্যক্তিকে জরিমানা করেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রকটিকে জব্দ করে থানার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সকল অনিয়ম দূর্নীতির বিরূদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারের নির্দেশে দেশের স্বার্থে কাউকে প্রভাব ও বল প্রয়োগ করে কোন ধরণের অনিয়ম করতে দেব না।