সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরাইল। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। গত দুইদিনে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় গাজাজুড়ে আরও ১১৩ প্রাণ ঝরলো। এ নিয়ে জনমনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার রাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২৮ শিশু এবং ৩১ নারীসহ ১১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, কাতারে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১১৩ জন নিহতের পাশাপাশি ২৬৪ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুমোদনে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি অনুমোদনে ভোটাভুটি হবে। এরপর সরকারি মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিকভাবে এটি অনুমোদন করতে হবে।
হামাস এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি যুক্তি অনুমোদন করেছে। তবে ইসরাইল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির অনুমোদন করেনি। চুক্তি অনুমোদনে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে ‘শেষ মুহূর্তে সংকট’ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করে বৈঠক পিছিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক কখন হবে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী রোববারই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনুমান করেছেন, রোববার যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা থাকলেও যদি ইসরাইল শনিবার পর্যন্ত অনুমোদন সম্পন্ন করতে না পারে, তাহলে চুক্তি কার্যকর বিলম্বিত হতে পারে।