তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ: আরজিকর কাণ্ডে নতুন মোড়

এফএনএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ: আরজিকর কাণ্ডে নতুন মোড়

আরজিকর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য।

অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেওয়ার পর মামলা দায়ের করা হয়। এখন হাইকোর্টে মামলাটি বিচারাধীন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিয়ালদহ আদালতের রায়ের পর প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলাম। এটি বিরলতম অপরাধ। চরম শাস্তি ছাড়া এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার সম্ভব নয়। পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে তিনি জানান, রাজ্য সরকার হাইকোর্টে আবেদন জানাবে।

ভারতীয় আইনের ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু), এবং ১০৩() (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদহ আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ড দিলেও, রাজ্য সরকার মনে করছে এটিবিরলতম অপরাধ, যেখানে মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।

রাজ্যের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব, বিশেষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় ফাঁসির পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানান, “ধর্ষকদের জেলে রেখে করদাতার টাকা নষ্ট করার মানে নেই। তাদের মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি।

২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে আরজিকর কাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। টানা ৬০ দিন ধরে চলে শুনানি। ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর দুই দিন পর ২০ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালত তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

তবে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এই নৃশংস অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মামলার পরবর্তী পর্যায় হাইকোর্টে হবে, এবং সেই শুনানির ওপর নির্ভর করবে দোষীর চূড়ান্ত শাস্তির বিষয়টি।