চাঁদপুর ইলিশ অবতারণ কেন্দ্রে (বড়স্টেশন মাছঘাট) সারা বছরই ইলিশের চাহিদা রয়েছে। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সময় ইলিশ বেচাকেনা বন্ধ থাকে। এছাড়া বছরের অন্য সময়ে বেচাকেনা থাকে। গত ২-৩ বছর ধরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। যার কারণে দামও বেড়েছে দ্বিগুণ। স্থানীয় নদ নদীতে বড় ইলিশ কম ধরা পড়লেও নভেম্বর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই তিন মাসে ইলিশের ছোট পোনা যা টেম্পু ইলিশ নামে পরিচিত। এই জাটকা ইলিশ ব্যাপক নিধন হবার সুবাদে হাট বাজার পোনা ইলিশ সয়লাব থাকছে। এই পোনা ইলিশের দামও বেশি। ৪০০- ৫০০ টাকার নিচে না। ব্যাপক জাটকা ইলিশ নিধন হলেও চাঁদপুরের জেলা উপজেলা মৎস্য বিভাগ হাত খুঁটিয়ে বসে আছেন। ইলিশের ছোট পোনা বড় হবার সুযোগ না দেয়ায় চাঁদপুরের নদ নদীতে বড় ইলিশ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে বলে অভিমত পর্যবেক্ষক মহলের। এদিকে চাঁদপুর মাছঘাটে কিছুটা ইলিশ সরবরাহ থাকলেও ক্রেতাদের সাড়া পাচ্ছে না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২০জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ বড়স্টেশন মাছঘাটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ইলিশ নিয়ে বসে অলস সময় পার করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ইলিশের দাম বৃদ্ধি থাকায় ক্রেতা সমাগম কমেছে এই আড়তে। যদিও বরাবরই ক্রেতাদের অভিযোগ দাম নাগালের বাইরে। যার কারণে ইলিশ কেনায় অনাগ্রহ ক্রেতাদের। ক্রেতা মো. শোয়াইব খান জানান, বেশ কয়েকজন মিলে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ কিনতে আসি কিন্তু দাম শুনে আমাদের অনাগ্রহ এসেছে। যেখানে ১০-১২টি ইলিশ কিনার কথা সেখানে ৫-৬টি ইলিশ কিনতে হয়েছে। এখন ইলিশের মৌসুম নয়, তবে প্রতি আড়তে কিছু কিছু ইলিশ আছে। তবে দাম প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। দাম নাগালের মধ্যে না আসলে, ধিরে ধিরে ইলিশ কিনার আগ্রহ কমে যাবে। বড়স্টেশন মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী হাজী শবে বরাত বলেন, মূলত এখন ইলিশের মৌসুম না। এছাড়া পুরো ইলিশের সিজন আকাল ছিল। যার কারণে দাম আর কমেনি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘাটে ক্রেতা কমেছে। ইলিশ নিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতাদের সাড়া পাওয়া যায় না। ইলিশ থাকলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। আরেক ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, ইলিশ খুবই কম। দাম কমার আর সম্ভাবনা নেই। এখন এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২৭০০ টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সারাদিনে ২০ থেকে ৩০ কেজি মাছও বিক্রি হয় না।