বিগত তিন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বিচারের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
বিগত তিন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বিচারের সুপারিশ

নির্বাচন ব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ ও দায়ীদের বিচারের প্রস্তাব দিয়েছে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’। গত ১৫ জানুয়ারি সরকারের কাছে ১৫০টি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয় এই কমিশন। কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার জন্য যারা দায়ী, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের নির্বাচনি অঙ্গন থেকে বিতাড়িত করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক অপরাধ প্রমাণিত হলেও তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত নয়।”  

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যেন দায়বদ্ধ ও স্বচ্ছ হয় এবং অপরাধীদের সদস্য না করে, সে বিষয়েও সুপারিশ করা হয়েছে। নির্বাচনি প্রার্থীদের হলফনামার যাচাই-বাছাই আরও সঠিকভাবে করার এবং ৪০ শতাংশের নিচে ভোট পড়লে পুনর্নির্বাচনের প্রস্তাবও প্রতিবেদনে রাখা হয়েছে।”  

বদিউল আলম মজুমদার জানান, গত তিনটি নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা শপথ ভঙ্গ করেছে, যা তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।  

কমিশনের প্রতিবেদনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বদিউল আলম বলেন, “যেগুলোতে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেগুলো পরবর্তী সংসদে বাস্তবায়ন হবে। তবে নির্বাচনের আগে আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব।”  

তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে নির্বাচনি ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে এবং বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব হবে। চার মাসের মধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একই তফসিলে করার জন্য প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে।”  

কমিশনের প্রতিবেদনের চূড়ান্ত খসড়া জমা দেওয়ার জন্য তাদের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বদিউল আলম জানান, “প্রাথমিক প্রতিবেদনে কিছু পরিবর্তন ও সম্পাদনার কাজ বাকি রয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়া হবে।”  

কমিশনের অন্যান্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিদেশে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অসুবিধা দূর করা, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা।  

৮ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশনটি গত ৩ অক্টোবর গঠন করা হয়। এর সদস্যদের মধ্যে আছেন নির্বাচনি বিশেষজ্ঞ, শাসন প্রক্রিয়া বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদ।  

নির্বাচন ব্যবস্থাকে সঠিক ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে কমিশন তাদের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে