মরে ভেসে উঠছে নদীর মাছ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে। মেঘনা নদীর চাঁদপুর সীমানার মতলব ষাটনলের কাছাকাছি পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাট।এখানে বহু শিল্প কলকারখানা অবস্থিত। ঢাকার বুড়িগঙ্গা নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, মুন্সীগঞ্জের  ধলেশ্বর নদী।এসব নদীর পানি বহু বছর আগে থেকেই দূষিত।  কলকারখানার দূষিত কেমিক্যালযুক্ত পানি মেঘনা নদীর তলদেশ দিয়ে আসায় এখন ক্রমান্বয়ে চাঁদপুর মেঘনা নদীর পানিও দূষণের মধ্য পড়েছে। এর প্রভাবে এখন মতলব উত্তর উপজেলার নদ নদীর দেশিয় জাতের মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে নদীর তীর এলাকায় দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শনিবার সকালে উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে, দশানী, ষাটনল, জেলেপাড়া, বাবু বাজার, এলাকায় নদীতে মরা মাছ ভাসতে দেখেছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন কলকারখানার দূষিত কেমিক্যালযুক্ত পানি মেঘনা নদীর তলদেশ দিয়ে আসছে। সেখানে নদীর পরিবেশ দূষিত হয়ে দেশিয় ছোট-বড় মাছ মরে ভেসে উঠছে। পচা মাছের দুর্গন্ধে নদী পাড়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নদীর দূষিত পানি চাঁদপুর মেঘনা নদীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দূষিত এই পানি এখানে প্রবেশ করেছে। শহরের বিভিন্ন কারখানার দূষিত বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে এক সপ্তাহ ধরে নদীর পানির রং বদলে যাচ্ছে। দূষিত পানির কারণে পানির পিএইচ ও অ্যামোনিয়া মাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় নদীতে থাকা বিভিন্ন জাতের বড় মাছ, মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। মাছগুলো মরে ভেসে গেছে এবং নদীর পাড়ে জমাট হয়ে পচে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস জানান, মাছ মারা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। বর্জ্যরে কারণে নদীর পানিতে অক্সিজেন কমে যাওয়ায় মাছ মরে ভেসে ওঠে। পানিতে মিশে থাকা দূষিত পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।