বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বললেন, নির্বাচনই জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায়। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে বিএনপি অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে জনগণ মেনে নেবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একটি শিক্ষক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়া তারেক রহমান তার বক্তৃতায় নির্বাচন, সংস্কার, তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন।
এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরো বলেন, "নির্বাচন ও সংস্কার—দুটিই বিএনপির জন্য জরুরি। কিন্তু যারা এই দুটি বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে, তাদের উদ্দেশ্য কিছুটা সন্দেহজনক হতে পারে।" তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নিয়েই বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং তা সমাধান করতে নির্বাচন বা সংস্কার নয়, বরং জনগণের আসল সমস্যা সমাধানে নজর দেওয়া উচিত।
তিনি এও বলেন, "যতদিন বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে, দ্রব্যমূল্য কমিয়ে জনগণের হাতে খাবারের পয়সা না পৌঁছানো যায়, ততদিন কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক বা সংস্কার হবে না।"
তবে তিনি এই তরুণদের কাছে আবেদন করেন, “রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক সহায়তা গ্রহণ করবেন না, কারণ তা জনগণের কাছে হতাশার কারণ হয়ে উঠবে।” তিনি আরও বলেন, "পথটি স্বচ্ছ হতে হবে এবং এটি কোন প্রশ্নবিদ্ধ পথে না গিয়ে সুস্থ রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।"
তিনি সরকারকে আরও বলেন, “যদি জনগণ কোনো বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা মেনে নিলেও তা থেকে ফলপ্রসূ কোনো পদক্ষেপ না আসে, তবে জনগণ যথাযথভাবে তার প্রতিবাদ জানাবে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়া।”
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লাহ বুলু এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া এবং জাতীয় সম্মেলনের অন্যান্য অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ বক্তৃতা থেকে স্পষ্ট যে, বিএনপি নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনার মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনায় জনগণের অধিকারের কথা তুলে ধরতে চায়, পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমকে আরো কার্যকর এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ করার বিষয়ে অবিচল রয়েছে।