বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন,পাঁচই আগস্টের পর যেসব নেতাকর্মী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন তারা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিতে থাকতে পারবে না। এই বার্তা নেতৃবৃন্দ কে তৃণমূলে পৌঁছে দিতে হবে।
শনিবার দুপুরে (২৫ জানুয়ারি ২০২৫) শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ মুনিরা ভবনে
নবগঠিত চাঁদপুর পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম।
যৌথ এই সভায় পৌর বিএনপির আহবায়ক আক্তার হোসেন মাঝির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডঃ হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মো. শাহজালাল মিশনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের সঞ্চালনায় জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্যউপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু,জসিম উদ্দিন খান বাবুল, দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সেলিমুছ সালাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, সহ সভাপতি খলিলুর রহমান গাজী,ডিএম শাহজাহান,যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ জহির উদ্দিন বাবর, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসাইন। এ ছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমরা চাঁদপুরে বিএনপিতে নেতাকর্মীদের দুই রকম অবস্থান দেখেছি। ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের সময় বিগত ১৫-১৬ বছর নেতাকর্মীদের দেখেছি একরকম। আর ৫ আগস্ট এর পর কিছু কিছু নেতাদের চেহারা দেখেছি অন্যরকম।
তাতে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বচ্ছ রাজনীতি করেন। আজকের সভায় যারা এখানে নেতৃবৃন্দ আছেন,তাদের অনেকেই গত ১৫টি বছর স্বচ্ছতার সাথে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু ৫ তারিখের পর কিছু নেতাদের দেখেছি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায় অপকর্মের সাথে জড়িত। তারা এই কমিটিতে থাকতে পারবেনা, সে যদি আমার ভাইও হয়। সে অমুক নেতা, চাঁদপুরের ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের একেবারেই সামনের সবচেয়ে পরিক্ষিত নেতা। তারপরও কোনভাবেই তারা কমিটিতে আসতে পারবে না। এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যখন ইউনিয়নে ওয়ার্ডে এবং ইউনিয়নে কমিটি করার জন্য যাবেন আপনাদের বক্তব্যে এই বার্তা পৌঁছে দিবেন।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন কমিটি হবে। সেখানে শহরের আমাদের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন তারা ওয়ার্ডে এবং ইউনিয়নের ভোটার তাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে হবে। তাদের সম্পৃক্ততায় নতুন কমিটিগুলো তদারকি করতে পারেন।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দৃঢ়তার সাথে বলেন, চাঁদাবাজি মাদক ইভটিজিং এ জড়িতদের এবং কিশোর গ্যাং ও আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন,মনে হচ্ছে
ডক্টর ইউনুসের সরকার নিরপেক্ষ সরকার নয়। সারজিস আলম ও নাহিদরা যে ভাষায় কথা বলছে তাতে গণতন্ত্রের জন্য আমাদেরকে আবারও আন্দোলনে নামতে হবে। এই নতুন কমিটির মাধ্যমে সেই আন্দোলন হবে।
সভার শুরুতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত চাঁদপুর পৌর কমিটির এবং ৩১ সদস্য বিশিষ্ট চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির প্রত্যেককে পৃথকভাবে পরিচয় করিয়ে দেন এই দুটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
সবশেষে নবগঠিত ওই দুটি কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।