রাজশাহী বিভাগের এএমসি চিকিৎসকদের গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত

এফএনএস (মনিরুজ্জামান ফারুক; ভাঙ্গুড়া, পাবনা) :
| আপডেট: ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
রাজশাহী বিভাগের এএমসি চিকিৎসকদের গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত

রাজশাহী বিভাগের এএমসি (হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক) চিকিৎসকদের গেট টুগেদার এবং কালচারাল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রিসোর্টে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের সকল হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসারবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনানী আয়ুর্বেদিকে গ্রাজুয়েট ডক্টরস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আগড্যাব) এর সভাপতি ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনানী আয়ুর্বেদিক গ্রাজুয়েট ডক্টরস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ(আগড্যাব) এর মহাসচিব ডা. আমিনুল বারী কানন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. সোহেল আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আগড্যাব মহাসচিব ডা. আমিনুল বারী কানন বলেন, সারা দেশের হাসপাতাল সমুহে মেডিকেল অফিসার গন সুনামের সাথে ইউনানি এবং আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের স্বাস্থ্য সেবার আমাদের ভুমিকা অনষিকার্য। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে দেশের প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগ, উচ্চ শিক্ষা কোর্স চালু করা, স্থায়ীভাবে পি এস সির মাধ্যমে নিয়োগের ব্যাবস্থা করার। আমরা আন্তরিক ভাবে স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রেখে যাচ্ছি কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। আমরা সম্মিলিত ভাবে প্রতিনিয়ত চেস্টা করে যাচ্ছি সকল বৈসম্য দূর করে দ্রুত সকল সমস্যার সমাধান করে যৌক্তিক ন্যায্য অধিকার আদায় করে নিতে।সকল কে ঐক্যবদ্ধ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আগড্যাব সভাপতি ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটন বলেন, রাজশাহীর এই আয়োজনে আমরা বিমোহিত। ৫ আগস্টের পরে দেশের নতুন সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই রচিত হয়েছে বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য সেক্টরে এ এম সি এক নতুন দিগন্তের সুচনা করবে। দেশের প্রতিটি বিভাগে আমরা মেডিকেল কলেজ চালু করার পরিকল্পনা হাত নিয়েছি। এতে পাশ করা চিকিৎসকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, তেমনি দেশের জনগন আধুনিক যুগোপযোগী ইউনানি আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পাবেন। আমরা চাই দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত তিনজন করে এ এম সি মেডিকেল অফিসারের পদ সৃষ্টি করতে হবে। সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাস্পাতালে এ এম সি চিকিৎসক নিয়োগের বিকল্প নাই। ডা. এ এস এম সায়েমুল ইসলাম প্রিন্সের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. হেদায়েতুল ইসলাম, ডিপিএম (এ এম সি), ডিজি এইচ এস, ডা. কামরুল হাসান তোহা, ডি পি এম (এ এম সি) ডি জি এইচ এস। রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ডা. বেলাল হোসেন, ডা. জাকারিয়া মানিক, ডা. আমিনুল বারী কানন, অতিথি শিল্পি আলামিন হোসেন লিমন এবং মিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. আজমল সেলিম।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে