খুলনার দিঘলিয়া উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নে ঘোষপাড়া আত্নঘোষিত সার্বজনীন মন্দিরে সরকারি প্রায় ১৭ লাখ টাকার প্রকল্প পাশ করিয়ে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করে দুই পক্ষের কাগজপত্র গ্রহণ করলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল এ প্রতিবেদককে জানান, এ মন্দীর নির্মাণকারী বসুদেব ঘোষ ঢাকা থেকে তদবির করে এ প্রকল্প পাশ করিয়েছেন। আমরা করি নাই। জমির মালিকানা দাবীদার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই মামলা চলমান জমির উপর ১৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু থেকে তারা তাদের আবেদন জানিয়ে আসছেন। এই প্রকল্পটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বেশ আলোচনার ঝড় বইছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে সরকারী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই মামলা চলমান জমির উপর ডঃ বাসুদেব ঘোষ, ঘোষপাড়া সার্বজনীন মন্দিরের নামে ১৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন এল,জি,ই,ডি থেকে এবং এ প্রকল্পের কাজও শুরু করেন বেশ তড়িৎ গতিতে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী উক্ত জমির দাবিদার বাবু গোলক চক্রবর্তী জমির কাগজপত্র ও চলমান মামলার কাগজপত্র সহকারে একটি অভিযোগ করেন দিঘলিয়া এল,জি,ই,ডি অফিসসহ অন্যান্য দফতরে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্দ করেন কর্তৃপক্ষ কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই কোনো অলৌকিক শক্তির মাধ্যমে আবারও কাজ শুরু করেন বলে জানা যায়। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী এল,জ,ই,ডি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হন এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কাজটি আবারও বন্দ করে রাখেন। এ বিষয়ে একদল গণমাধ্যম কর্মী এল,জি,ই,ডি অফিসে এই প্রকল্পটির ফাইল দেখতে চাইলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গোলক চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে বাসুদেব ঘোষ। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমাদের জমি ফেরত পাবার জন্য মামলা করেছি কিন্তু এরই মধ্যে পেশিশক্তির মাধ্যমে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই চলমান মামলার জমির উপর মন্দিরের নামে বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। তিনি আরো বলেন এই বাসুদেব ঘোষ একজন চালাক এবং দখলবাজ লোক। তাই চালাকি করে মন্দিরকে ঢাল বানিয়ে আমাদেরপুরো জমি টুকু গ্রাস করতে চাইছে। আমরা আইনগত ভাবে এই দখলবাজের শাস্তির দাবি জানাই। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বলেন, এখানে শতবর্ষী একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে অত্র এলাকার সকল সনাতনীরা পূজা অর্চনা করে থাকেন। অর্থাভাবে এই শতবর্ষী মন্দিরটির উন্নয়নে কোনো সাহায্য নেই, অথচ অন্যের জমির উপর চলমান মামলা রয়েছে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই এত বড় প্রকল্প কিভাবে হলো বিবেকবান জাতি এর সত্যতা জানতে চায়। এদিকে এলাকার বিজ্ঞমহল এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, পাশে অদূরে একটা প্রাচীনতম সার্বজনীন পূজা মন্দীরের কঠিন দৃশ্যমান অবস্থান থাকার পর সরকারি অর্থের অপচয় করে বিতর্কিত জমিতে সার্বজনীন পূজা মন্দীরের দাবী নিয়ে এ প্রকল্প যারা পাশ করেছে তাদের ব্যাপারে তদন্তের প্রয়োজন। সরকারকে বিতর্কিত করতে যারা এ ধরনের প্রকল্প জমা দিয়েছে আর যাদের হাত ধরে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার তদন্ত হওয়া সময়ের দাবী। উল্লেখ্য যে জমির উপর এলজিইডির প্রায় ১৭ লাখ টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে সে জমির ওয়ারেশ ও ক্রয়সূত্রে মালিকানার দাবীদার গোলক চক্রবর্তী। এবং মালিকানা আদালতের মাধ্যমে ফেরৎ পাওয়ার জন্য মামলাও চলমান।