পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান

হাসপাতালের ঔষধ কাগজে থাকলেও স্টোরে নাই

এফএনএস (মোঃ রেজাউল ইসলাম শামীম; পিরোজপুর) : : | প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
হাসপাতালের ঔষধ কাগজে থাকলেও স্টোরে নাই

কাগজে কলমে ঔষধ ক্রয় এবং ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্রহন করা হলেও বাস্তবে স্টোর রুমে এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর একটি অভিযানে এ অনিয়মের চিত্র ধরা পড়ে। রেজিস্টার পরীক্ষা করে তিন ধরণের ১৫ হাজার ৪৬৭ টি ঔষধের এ অনিয়ম ধরা পড়ে। 

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে পৌনে ২ কোটি টাকার ঔষধ সরবরাহের গড়মিলসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুযর্নীতির প্রমান পেয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে দিনভর এ অভিযান চালান দুদক পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন। এ সময়ে দু’দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেওয়া হয়। সাজা প্রাপ্তরা হলো মো. রাহাত রব্বানী (২৪) এবং রাজিব মন্ডল (২০)। এরা দু’জনই স্থানীয় শেফা ডায়গনস্টিক ক্লিনিকের কর্মী বলে জানান।

হাসপাতালে অভিযান পরিচালনাকারী পিরোজপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন জানান, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে দুদক এর ঢাকা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুরে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বিভিন্ন রেজিস্ট্রার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পান যে হাসপাতালের জন্য ঔষধ কেনা হয়েছে এবং এজন্য ঠিকাদারকেও টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এমনকি স্টোরেও সংরক্ষিত দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে হাসপাতালে ঔষধ পৌছায় নাই কিংবা সেগুলো স্টোরেও সংরক্ষণ করা হয় নাই। কমপক্ষে তিনটি ঔষধের ক্ষেত্রে তারা এমনটি পেয়েছেন। সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও জানান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঔষধ সহ আরও কিছু মালামাল সরবরাহ করতে না পারায় তারা সিকিউরিটি হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষতে এক কোটি ৭৬ লক্ষ ২১ হাজার ৬১২ টাকা মূল্যমানের তিনটি চেক দিয়েছেন। তবে দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, টেন্ডারের মালামাল না দিয়ে এভাবে চেক আদান প্রদানের কোন নিয়ম নাই। 

অভিযানের শুরুতেই দুদক টিম হাসপাতালে প্রবেশকালে ভিতর থেকে ২ দালালকে আটক করে মোবাইল কোর্টে প্রত্যেককে ১৫ দিনের জেল ও ১০০ টাকা করে জরিমানার দন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।   তবে ঘটনার বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ ক্রয় প্রক্রিয়াটি পূর্বের সিভিল সার্জনের সময়ে সম্পন্ন হয়েছিল। তাই এ বিষয়ে তদন্ত না করে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW