পটুয়াখালীর বাউফলে বাউফলে যুবলীগ কর্মী অটোচালক মোঃ সুজন হাওলাদার (৩৫) হত্যা মামলার দু’ আসামী জিহাদ মুন্সি (২৪) ও এনামুল হক সিপাহী (৩০) কে গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। জিহাদ মুন্সি পিতা- সত্তার মুন্সি, এনামুল হক সিপাহি পিতা- বারেক সিপাহী, উভয়ের সাং কনকদিয়া। পুলিশ জানায় আসামীদ্বয় ছাত্রদলকর্মী। গ্রেফতারের পর আসামীদের পটুয়াখালী জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল সারে ৫টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ বাজারের দক্ষিন পাশে মিজান ফার্মেসীর সামনে এ হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত সুজন উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের মোঃ নবী আলী হাওলাদারের ছেলে। সুজন মদনপুরা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী বলে জানিয়েছেন তার পরিবার ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শাহজাহান সিরাজ। সুজন ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত ও দু’ সন্তানের জনক। অভিযুক্ত মুনঈমুল ইসলাম মিরাজ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, কনকদিয়া ইউঃপির নারায়নপাশা গ্রামের মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে এবং কনকদিয়া ইউঃ পিঃ বিএনপির সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ভাতিজা। এ বিষয়ে নিহত সুজনের বাবা বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মুনঈমুল ইসলাম মিরাজকে প্রধান আসামী করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন সোমবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সুজন যাত্রী নিয়ে আমিরাবাদ বাজারে যাওয়ার পথে বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মুনঈমূল ইসলাম মিরাজ (৩৫) নেতৃত্বে তার ছোট ভাই মোরসালিন (২৫), সজল (২৮) ও রাসেল (৩০) সহ ৮ থেকে ১০ জন ছাত্রদল কর্মী সমর্থক তাকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও ছুড়িকাঘাত করে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক এম মিরাজুল ইসলাম বলেন”অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে হাসপাতারে আনার আনুমানিক ২৫ মিনিট পুর্বেই সুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষনা করেন।
নিহত সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার বলেন, ”আমার বাবার সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল না, এলাকার লোকজন চাদা তুলে আমার বাবাকে অটো গাড়ী কিনে দিয়েছে। আমি বিচার চাই”।
সুত্র জানায়, নিহত সুজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বিকাল ৫টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামাল হোসেন বলেন, নিহত সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাউফল থানায় ২০ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’ আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।