পবিত্র রমজান মাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। তাদের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ৩১ জানুয়ারি শাবান মাস শুরু হবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি রমজানের চাঁদ দেখা গেলে ১ মার্চ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরু হতে পারে।
আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বার্তায় জানায়, ২৯ জানুয়ারি হিজরি সনের রজব মাসের ২৯তম দিন হবে। তবে ওইদিন চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় সূর্যাস্তের আগেই ডুবে যাবে, ফলে চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। এর ফলে রজব মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে এবং ৩১ জানুয়ারি শাবান মাস শুরু হবে।
এছাড়া সংস্থাটি জানায়, ৩০ জানুয়ারি দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে। যার অর্থ হলো, যেসব দেশে ওইদিন রজব মাসের ২৯তম দিন হবে, সেসব দেশেও ৩১ জানুয়ারি শাবান শুরু হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, মরক্কো, ক্যামেরুন ও আলবেনিয়া।
আমিরাতের গবেষকরা জানিয়েছেন, শাবান মাস ২৯ দিন হলে ২৮ ফেব্রুয়ারি রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে এবং ১ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরু হবে। তবে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হলে রমজান শুরু হবে ২ মার্চ থেকে।
এদিকে, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও একই নিয়মে চাঁদ দেখা হবে। যদি বাংলাদেশে শাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হয়, তবে ১ মার্চ রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
এ বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে রমজান শুরুর সম্ভাবনা থাকলেও আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র বলছে, আগামী বছর (২০২৬) ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ মুসলমানদের আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারিতে রমজান দেখতে।
মুসলিম উম্মাহর কাছে রমজান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। তাই বিশ্বব্যাপী চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় রোজা রাখার সময়সূচি। মধ্যপ্রাচ্যের চাঁদ দেখা সম্পর্কিত তথ্য অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্যও নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য চাঁদ দেখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই দেবে।