চট্টগ্রামে খাল খননের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে: উপদেষ্টা

এফএনএস অনলাইন: : | প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম : | আপডেট: ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
চট্টগ্রামে খাল খননের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে: উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে চট্টগ্রামে খাল খননের নামে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিপুল অর্থ লুটপাট করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরও যোগ করে বলেন, শহরের ভেতরে যে খাল-নালা, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিক অবস্থা পুরো খারাপ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি।

এদিন সকালে চট্টগ্রাম নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় বারইপাড়া খালের খননকাজ পরিদর্শন করেন তিনি। বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন এই খালটি খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নগরের নাসিরাবাদ, মুরাদপুর, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, বারইপাড়া ও বাকলিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে নতুন এই খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৪ সালের ২৪ জুন।

নগরের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের এ খাল খনন প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তবে অন্তত পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এর কাজ শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ প্রকল্পের ব্যয়  এখন বেড়ে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। সবশেষ গত বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় আরেক দফা মেয়াদ বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোয় নগরের তিন সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়েছে। তবে আগামী দিনে জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে