গত ৫ আগস্ট গণ অভ্ভুথ্থানে ছাত্র জনতার অগণিত প্রাণ বিসর্জন দেয়ার মধ্য দিয়ে বিগত ১৬ বছরের -ৈ^রাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার ধারাবাহিকতায় বরগুনায় শনিবার দুপুরে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বরগুনা পৌরসভার পুরানো গ্রন’াগার ভেঙে তৈরি করা হয়েছিলো নৌকা জাদুঘর। সময়ের পরিবর্তনে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্র-ে’র নৌকার আদলে বরগুনায় প্রথম নৌকা জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয় তৎকালীন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো-্তাইন বিল্লাহর পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জাদুঘরটির পাশাপাশি নৌকা গবেষণাকেন্দ্র, আধুনিক লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, শিশুদের বিনোদনের জন্য রাইড, থিয়েটার, ক্ষুদ্র ক্যাফেসহ নানা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আশ্বাস ছিল। তবে উদ্বোধনের ৪ (চার) বছরেও তা বা-্তবায়ন হয়নি। জাতীয়বাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মুরাদ খান বলেন, নৌকা জাদুঘর এটাকে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর নাম দেওয়ার কারণে জনরোস সৃষ্টি হয়েছে জনগণ ৫ তারিখ আগুন দিয়ে পোড়ানোর পর খালী হাতে ভাঙতে ব্যর্থ হলে সরঞ্জাম নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। শহীদ জিয়া -্মৃতি পাঠাগার তৈরী করার দাবী জানাই জেলা প্রশাসকের কাছে। বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজবুল কবির বলেন, এখানে গণ পাঠাগার ছিলো সেটা ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর বানানো হয়েছে, এখান থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তৎকালীন সরকারের তেলবাজী করার জন্য বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর বানানো হয়েছে। এখন জনগন এটা ভেঙ্গে ফেলছে যারা ভাঙ্গছে তারা দেশ প্রেমিক। জেলা প্রশাসকের নামে চাঁদা বাজি মামলা হবে আমি তার বাদী হবো। এখানে শহীদ জিয়া পাঠাগার বানানো হোক।