নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিনা অপরাধে চাকুরিচ্যুত করায় বিচার চেয়ে এক নারী কর্মকর্তা ব্রাকের নির্বাহী পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে। গতকাল ডাকযোগে ওই অভিযোগ করেন ব্রাক’র মাইক্রোফাইন্যান্স (প্রগতি) বিভাগের ক্রেডিট অফিসার আনোয়ারী বেগম। অভিযোগকারীর বাড়ি সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ায়। লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সৈয়দপুর জোনে কর্মরত ক্রেডিট অফিসার (প্রগতি) আনোয়ারী বেগম তার মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে সকালে তার কর্মস্থলে যোগদান করতে যান। এ সময় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম,মাজহারুল ইসলামসহ তাদের সহযোগী বহিরাগত সেকেন্দার,আজমল হোসেন, ইলিয়াস মিয়া ও মোশারফ হোসেন মিলে যোগদানে বাধা সৃষ্টি করে। এমনকি তারা হুমকি দিয়ে বলে যে, দ্রুত অফিস চত্বর ত্যাগ করেন, নতুবা লাঞ্চিত করা হবে। তাদের এমন হুমকিতে আমি ভয়ে ভীত হয়ে দ্রুত অফিস চত্বর ত্যাগ করি। ওইসব ব্যক্তিরা মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়েও প্রচন্ডভাবে আমাকে মানুসিক টর্চার করে এবং আমার সরলতার সুযোগে তারা আমার সঙ্গে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও ছলনার আশ্রয় নিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত ম্যাসেজ দেয় আমার মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে। এসব ঘটনাকে ঘিরে তিন দফায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু আমার দেয়া অভিযোগের কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সৈয়দপুর, নীলফামারীতে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এমন অবস্থাতেও এ বছরের ৬ জানুয়ারী আমার কর্মস্থলে যোগদান করতে তাগাদা পত্র দেন এলাকা ব্যবস্থাপক চম্পা চৌধুরী। একই তাগাদা পত্রে কেনো আমি অনুনোমোদিত ভাবে কর্মস্থলে যোগদান করছি না তার জবাবও লিখিতভাবে চাওয়া হয়। আমি এলাকা ব্যবস্থাপকের দেয়া তাগাদা পত্রের জবাব দেই গত ১২ জানুয়ারী। কিন্তু আমার জবাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাকে ব্যাক ডেটে বেআইনীভাবে চাকুরিচ্যুত করে। চাকুরিচ্যুতির তারিখ দেয়া হয়েছে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর। অথচ এদিন সাধারণ ছুটির দিন। চাকুরিচ্যুতির পত্রে স্বাক্ষর করেছেন মানবসম্পদ বিভাগের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সামসুজ্জামান। প্রতিষ্ঠানের এসব ব্যক্তিরা পুরোপুরি ব্যক্তি ঈর্ষাপরায়ন হয়ে যোগসাজস করে আমাকে চাকুরিচ্যুত করেছে। এমনকি তারা আমাকে মাতৃত্বকালীন বেতন ভাতাও পরিশোধ করেনি। অন্যান্য পাওনাতো দূরের কথা। ফলে এমন অবস্থায় ন্যায় বিচার পেতে আমি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বরাবরে রোববার ডাকযোগে অভিযোগপত্র পাঠাই।