আঙ্গুর আমাদের সবার অনেক পচ্ছন্দের ফল আর এই আঙ্গুর শুকিয়ে কিসমিস হয়। আঙ্গুর যেমন সুস্বাদু ফল তেমনি অনেক মিষ্টি খাবারে কিসমিস ব্যবহৃত হয়। চলুন দেখা নেওয়া যাক আঙ্গুর না কিসমিস কোনটা স্বাস্থ্যকর?
আঙ্গুর না কিসমিস?
প্রথমত আঙ্গুরে প্রায় ৮০% পানি থাকে তবে কিসমিসে মাত্র ১৫% থাকে। আঙ্গুরের তুলনায় কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বেশি। আঙুরে আবার কিসমিসের চেয়ে ভিটামিন বেশি থাকে। আঙ্গুরে ভিটামিন কে, ই, সি, বি-১ এবং বি-২ থাকে যার পরিমাণ কিসমিসে কম।
আঙ্গুর ও কিসমিসের প্রকারভেদ:
পৃথিবীতে অনেক ধরণের আঙ্গুর পাওয়া যায়। আমাদের দেশে আমরা সবুজ,কালো ও লাল আঙ্গুর দেখি। রেসভেরট্রোল একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা প্রচুর পরিমাণে লাল আঙ্গুর মধ্যে পাওয়া যায়।আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। একইভাবে আপনি সোনালী, কালো এবং সবুজ কিসমিস দেখতে পাবেন। সোনালী কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভনয়েড থাকার কারণে স্বাস্থ্যকর মনে করা হয়।
ক্যালোরি কোনটার বেশি:
যারা ডায়েট করে তাদের ক্যালোরি মেপে খাওয়া অনেক জরুরী। আঙ্গুরে অনেক কম ক্যালোরি হওয়ায় মানুষ খেতে বেশি আগ্রহী হয় অন্যদিকে আধা কাপ কিসমিসে ২৫০ ক্যালোরি থাকে। অন্যদিকে একই পরিমাণে আঙ্গুরে থাকে ৩০ ক্যালোরি।
পুষ্টির উৎস:
কিশমিশ ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন এবং প্রয়োজনীয় খনিজের ভালো উৎস।কিশমিশে টারটারিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ থাকে, যার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে টার্টারিক অ্যাসিড অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং আপনার অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্নে:
আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। সূর্যের অতি বেগুণী রশ্মি থেকে দূরে রাখে আঙ্গুর। সেই সাথে ডার্ক স্পট দূর করতে সাহায্য করে।