বড়াইগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ

এফএনএস (আপন; বড়াইগ্রাম, নাটোর) :
: | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম : | প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
বড়াইগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ

নাটোরের বড়াইগ্রামে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (০২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে তারা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান (৩৫) ও তার বাবা মোঃ জিন্নাহ (৬০), নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মোঃ রুবেল (২৬), নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সুজন (৩২), শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৫), বিএনপি নেতা আজগর আলী (৬৫), ছাত্রদল নেতা মোঃ সোহেল (২৫), শুভ (২২) ও জুয়েল রানা (২০)। অপর পক্ষের আহতরা হলেন, ছাত্রদল নেতা হৃদয় (২৫), উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ সানা উল্লাহ (৫৫), বিএনপি নেতা নাসিম (২৭), ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম (৫৫) ও মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫২)। এদের মধ্যে হৃদয়, রুবেল ও জিন্নাহকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান স্থানীয় কয়েন বাজারে দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য একটি দোকান ভাড়া নেন। এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে রোববার বিকালে কয়েন বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটা ও উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। পরে ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি-সোটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। আহতদের চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে এঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে