দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের মহা উৎসব। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন মাঠে দেখা যাচ্ছে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি মহিলা শ্রমিকেরা বোরো ধানের জমিতে ধানের চারা রোপন করছে। কিন্তু একই সমান কাজ করলেও মহিলা শ্রমিকেরা মুজুরী পাচ্ছে কম। তারা মুজুরীর বৈষ্যমের শিকার হচ্ছে। গতকাল নারী শ্রমিক সোভা রানী সহ ১০জন মহিলা শ্রমিক ও ৬জন পুরুষ শ্রমিক পাশাপাশি বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছে কৃষক মফিজ উদ্দীনের জমিতে। সোভা রানীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, একই সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করছি পুরুষ শ্রমিক পাচ্ছে ৬০০ টাকা আর আমরা মহিলারা পাচ্ছি ৪০০ টাকা। দলের সঙ্গে কাজ করা লক্ষী রানী বলেন, আমরা তাদের চেয়ে কাজ বেশী করি কিন্তু মুজুরী পাই পুরুষের থেকে কম। কাহারোল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসমে ৫ হাজার ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫ভাগ জমিতে বোরো চারা রোপন করা হয়েছে। পুরা দমে কয়েক দিনের মধ্যে বোরো ধানের চারা রোপন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। নাম না প্রকাশ করার সর্তে এক এনজিওর মহিল কর্মী বলেন, শুধু মাঠে ঘাটে নয় বিভিন্ন পেশায় নারী শ্রমিকেরা মুজুরী বৈষ্যমের শিকার। তিনি আরও বলেন, একজন নারী শ্রমিক ইট ভাটায় কাজ করেন ২শত টাকা মুজুরী পান আর একজন পুরুষ মানুষ মুজুরী পান ৫শত টাকা। ইট ভাটার শ্রমিক নাসিমা বলেন আমরা আর কত অবহেলিত হয়ে থাকবো এবং মুজুরী বৈষ্যমের শিকার কত দিন আর থাকতে হবে।