সৈয়দপুর শহরে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:১১ পিএম
সৈয়দপুর শহরে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি

উত্তরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর সৈয়দপুরে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পৌরসভা কাজ শুরু করেছে। তাই এটি কমাতে দিনের বেলা শহরে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সৈয়দপুর পৌরসভার। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কর্মদিবসে দিনের বেলায় কোনো ভারী যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। এ আদেশ কার্যকর হয়েছে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। পৌর সূত্র জানায়, উত্তর জনপদের সবচেয়ে কর্মব্যস্ত এবং ছোট শহর হল সৈয়দপুর। এ শহরে রয়েছে রংপুর বিভাগের একমাত্র বিমানবন্দর। এখানে দিন ও রাতে ১৬টি বিমান ওঠানামা করে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার অবস্থান সৈয়দপুরে। আরও আছে সেনানিবাস। বিসিক শিল্পনগরী, মাঝারি শিল্পকারখানা ও প্রতিযোগিতামূলক বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ এ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ভারী যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ও সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে পণ্য ওঠানামার (মাল লোডিং আনলোডিং) কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এসব বিবেচনায় নিয়ে কর্মদিবসে সকাল ৮ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত কোনো প্রকার ভারী যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ভারী যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, বড় বাস, ট্যাংকলরি, ডাম্প ট্রাক ইতাদি। প্রয়োজনে এসব যানবাহন বাইপাস হয়ে চলাচল করতে পারবে। সৈয়দপুর পৌর কর্মকর্তা কর্মচারি এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক সুজন শাহ বলেন, যানজট নিরসনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন শহরের যানজট নিরসনে এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, যানজটের কারণে সৈয়দপুরে অনেক কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। এর আগে যানজটের চাপায় পড়ে পথচারীর মৃত্যুও ঘটেছে। সৈয়দপুর পৌরসভার সাথে ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে কাজ করবে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, শহরের ভয়াবহ যানজটের কথা চিন্তা করে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের পাঁচটি পয়েন্টে গতিরোধক বসানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা নেয়া হবে। পৌরসভার পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে