হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্ধকৃত বীর নিবাস সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। বাচাই কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে ৫৫টি বীর নিবাসের মধ্যে ৪৩টি বীর নিবাস (ঘর) দখলে নিয়েছে সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা। এর মধ্যে অনেকেরই গাজীপুরসহ বিভিন্ন শহরে বাড়ী-গাড়ী রয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ বিন কাশেম কর্র্তৃক প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ধীন অসচ্ছল মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আবাসন সমূহ যাচাই-বাচাই সংক্রান্ত গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্বারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৮.১৪.২৯৮(০৪).২৩-৮৫০ এর আলোকে গঠিত যাচাই-বাচাই কমিটি প্রেরিত প্রতিবেদনে দেখা যায় মাধবপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ধীন অসচ্ছল মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ১ এবং ২ এর মাধ্যমে ৫৯ টি বীর নিবাস বরাদ্ধ আসে। এর মধ্যে ৪ জনের জমি জটিলতা থাকায় বীর নিবাস নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বাকী ৫৫টির মধ্যে তৎকালিন বাচাই কমিটি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এনাম খাঁসহ আওয়ামীলীগ দলীয় পরিচয়, অনিয়ম ও অর্থনৈতিক দুনীর্তির মাধ্যমে ৪৩টি বীর নিবাস সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা দখলে নেয়। বাকী ১২টি বীর নিবার্স অসচ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হয়।
এ প্রসংঙ্গে বর্তমান যাচাই-বাচাই কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন জানান বীর নিবাস দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও টাকা পয়সা লেনদেন হয়েছে। অনেক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা বীর নিবাস পায়নি। যারা পেয়েছে তারা অধিকাংশই সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা। ওই সময় আমাদের কথার কোন মূল্য দেয়া হয়নি। কয়েক জনের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জিম্মি ছিল।
বর্তমান যাচাই-বাচাই কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মিয়াব আলী জানান-অনেক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আছে যাদের বাড়ী-ঘর কিছুই নাই। কষ্ট করে জীবন-যাপন করে। তাদের ঘর না দিয়ে তারা সচ্ছল তাদের ঘর দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ বিন কাশেম জানান আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। উপর থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।