ময়মনসিংহের ভালুকায় আ’লীগের একজন বলিষ্ট সমর্থক মেজবাহ উদ্দিন দীর্ঘ দিন ছিলেন স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের (স্বামাশিপ) সাধারণ সম্পাদক। সে এখন বিএনপি সমর্থক হয়ে পুনরায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতির ভালুকা উপজেলা শাখার সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এতে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকগণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে ওই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকরা কঠোর আনন্দোলনে হুমকি দিয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকরা জানান, ফ্যাসিষ্ট আ’লীগের সময় স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদে ভালুকা উপজেলার ধলিয়া গুলেনূর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মেজবাহ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন মেজবাহ উদ্দিন হাসিনা সরকারের সময় আ’লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতেন এবং সেই সকল পোগ্রামের ছবি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতেন। তাদের একটি গ্রোপ তৎকালীন সরকারের পক্ষে জোরালো প্রচারনা চালাতো। পাশাপাশি ওই কমিটি ফ্যাসিষ্ট হাসিনার নির্বাচন গুলোতে দায়িত্ব পালন করার জন্য আ,লীগের সমর্থিত শিক্ষকদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতেন। মেজবাহ উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক হয়েই তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নউফেল, স্থানীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু ও এম,এ ওয়াহেদের পক্ষে সরব ছিলেন। সরকার পতনের পরই মেজবাহ উদ্দিন সে সব ছবি তাঁর ফেইসবুক ওয়াল থেকে সরিয়ে ফেলেন।
৫আগস্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর সেই মেজবাহ উদ্দিন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেন। পরে তাকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতির ভালুকা উপজেলা কমিটিতে মেজবাহ উদ্দিন সভাপতি ও আব্দুর রাশিদ আকন্দকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪ জানুয়ারী কেন্দ্রিয় কমিটি ভালুকার কমিটি অনুমোদন করেন। কমিটিটির সুপারিশ করেন বাংলাদেশ টিচাস এসোসিয়েশানের সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ জাকির হোসাইন এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
ভালুকা ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মোজাহিদুর রহমান খান সোহেল জানান, আ’লীগের দোসর মেজবাহ উদ্দিনকে সভাপতি করে যে কমিটি দেয়া হয়েছে অবিলম্বে ওই কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগীদের দিয়ে নতুন কমিটি দেয়ার দাবি করেন।
মেজবাহ উদ্দিন জানান,আ’লীগের লোকজন আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আমাকে সাবেক কর্মস্থলে শান্তিতে চাকুরি করতে দেয়নি। স্বামাশিপের ভালুকা উপজেলার একটি কমিটির তালিকায় আমার নাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখানো হলেও সেই কমিটিটি অনুমোদিত নয়”।
বাংলাদেশ টিচার এসোসিয়েশানের সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ জাকির হোসাইন ঁজানান,আ,লীগের কোন সদস্য যদি স্বাধীনতা মাদরাসার শিক্ষক পরিষদের কমিটির সদস্য হতে পারবে না।ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান,ভালুকার কমিটির বিষয়ে আমার জানা নেই। শুনেছি কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের অনুমোদন দিয়েছেন। বির্তক থাকায় কমিটি স্থগিত রয়েছে।