বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আনোয়ার উদ্দিন মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ আবুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আবুল হাসান ওই মাদ্রাসায় নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই অর্থ আত্মসাৎ, নারি কেলেঙ্কারি , জাল সার্টিফিকেট বিক্রিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক জনপ্রতিনিধি, সহ একাধিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও ব্যক্তিবর্গের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর এ সবই করছেন আনোয়ার উদ্দিন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহসানুল হাবিবের আস্থাভাজন ব্যক্তি হওয়ায় বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় সমাজসেবক ও বীর-মুক্তিযোদ্ধা গওহর আইউব এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ওই কম্পিউটার শিক্ষক আবুল হাসান তাকে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে হেনস্থা করান হলে জানান গওহর আইয়ুব। এমনকি শিক্ষক আবুল হাসানের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গহর আয়ুবের বিরুদ্ধে জুতো মিছিল করেন। যে কারণে স্থানীয় সাধারণ জনগণ আবুল হাসানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এয়ারপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেন। কিন্তু চতুর প্রকৃতির আবুল হাসান তার কিছু দুর্নীতিবাজ সহযোগী নিয়ে মাদ্রাসাটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। আর এর প্রতিবাদ করাতেই স্থানীয় সমাজসেবক ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেবকে আওয়ামী লীগ নেতা আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন। আবুল হাসান নিজের দুর্নীতি অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে এক এক জনকে এক এক রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অপপ্রচার করছেন। তবে আবুল হাসানের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন রাজনৈতিক দলীয় পরিচয় আন্দোলন করেননি, তারা আন্দোলন করেছেন একজন দুর্নীতি বাজের বিরুদ্ধে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল হাসান জানান স্থানীয়দের হুমকির কারণে তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত হতে পারছেন না বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে আনোয়ারউদ্দিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন তার প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষক আবুল হাসানের বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাননি।