গাজীপুরের টঙ্গীবাজার এলাকায় আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী সংযোগস্থলে বিআরটি’র বেইলি ব্রিজ অপসারণে বাঁধা দিয়েছেন ব্যবসায়িরা। এসময় উত্তেজিত ব্যবসায়িরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। রোববার দুপুরে টঙ্গী বাজারের কয়েকশ’ ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ি বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন এবং বেইলি ব্রিজ অপসারণে বাধা প্রদান করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন, পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম কিরণ, বিএনপি নেতা ইসমাইল সিকদার বসু, আব্দুর রহিম খান কালা, আমিনুল ইসলাম লিটু ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী হাজী ইসমাইল হোসেন, তারেক হোসেন, নূর মিয়া, মুকবুল হোসেন, আব্দুস সাত্তার, শহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম মোল্লা, জহিরুল ইসলাম, হাজী মোস্তফা, মামুন পাঠান প্রমুখ। বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়িরা জানান, তুরাগ নদের উপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি দিয়ে টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও টঙ্গী বাজারটি অত্র এলাকার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়। বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সড়কে যান চলাচল চালু হওয়ার পর গতকাল থেকে মহাসড়কের পশ্চিমপাশে স্থাপিত বেইলি ব্রিজটি বিআরটি কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচলরত জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বেইলি ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হলে ক্রেতার অভাবে বাজারের প্রায় ২৫ হাজার দোকানি পথে বসবে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট-ডিবিআরটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মহিউদ্দিন বলেন, এই প্রকল্পটি আমাদের নয়। এটি হলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের। এব্যাপারে ওই দপ্তর ভালো বলতে পারবেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, পানি প্রবাহ সচল রাখার জন্য তুরাগ নদের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ বিআইডব্লিউটিএ’র পরামর্শ অনুযায়ী আর রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তুরাগ নদের ওপর যেসব বেইলি ব্রিজ আছে সবগুলোই অপসারণ করা হবে। উড়াল সড়ক দিয়ে চলাচলের জন্য একটি র্যাম্প চালু আছে আরও ৪টি র্যাম্প চালু করা হবে।