ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরকিয়ার জেরে স্বামী হেলাল উদ্দিন হত্যা মামলায় স্ত্রী হাফিজা খাতুন ও তার কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় উভয়কে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিতও করা হয়। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক আলী মুনসুর এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিবরণে জানা যায়, ১৪ বছর আগে মুক্তাগাছার ভাবকী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের সাথে একই উপজেলা নন্দীবাড়ি গ্রামের হাফিজা খাতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কয়েক বছর পর হেলাল চাকুরীর উদ্দেশ্যে দুবাই চলে যান। বিদেশ থেকে হেলাল উদ্দিন স্ত্রী হাফিজার নামে টাকা পয়সা পাঠালে সেই টাকা পয়সা গ্রামের অন্যান্য লোকজনের সাথে ফুর্তি করে নষ্ট করে। সে কারনে হাফিজার অভিভাবকেরা তাকে শাসন করলে হাফিজা বাড়ী থেকে চলে গিয়ে এনজিওতে চাকুরি নেয়। সেখানে হাফিসা আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরবতীতে ২০১১ সালে হাফিজার স্বামী হেলাল দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসে স্ত্রীর নিকট বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা পয়সা হিসাব চায়। এতে স্ত্রী হাফিজা ক্ষিপ্ত হয় এবং টাকা পয়সা হিসাব না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ঐ বছরের ২৮ জুন রাতে ভাবকী এলাকায় নিজ বাড়ীতে হেলাল খুন হয়। এ ঘটনায় হেলালের বোন সাফিয়া আক্তার তিনজনকে আসামী করে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তাগাছা ভাবকী এলাকার ইয়াদ আলীর মেয়ে হাফিজা খাতুন এবং ময়মনসিংহের চর ঘাঘরা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আমৃত্যু কারাদন্ড এবং উভয়কে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। হাফিজা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাতক রয়েছে। মামলার আরেক আসামী আরমান মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যাওয়ার তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।